দুনিয়া বিমুখ শত মনীষী
৳ 460 ৳ 230
সৃষ্টির সূচনা থেকে যুগে যুগে বহু মনিষীর জন্ম হয়েছে। আমেরিকার একজন গবেষক মাইকেল এইচ. হার্ট ইতিহাসের সর্বাধিক প্রভাবশালী ১০০ মনিষীদের তালিকা নিয়ে একটি বই লিখেছিলেন। বেস্ট সেলার এই বইটি সবচেয়ে বেশি হৈচৈ ফেলে দিয়েছিল এ জন্য যে, একজন খ্রিষ্টান ১০০ মনিষীদের তালিকায় সবার ওপরে নবীজি (ﷺ)-কে রেখেছেন। তার গবেষণা মতে নবীজিই একমাত্র ব্যক্তি, যিনি জাগতিক এবং আধ্যাত্মিক উভয় জগতেই সবচাইতে সফল।
🛒 ওয়েবসাইটে অর্ডার করলে যা পাবেনঃ
💝 ৳৪৯৯+ টাকার অর্ডারে বু্কমার্ক + কলম গিফট থাকছে !
💝 ৳১১১১+ অর্ডারে বুকমার্ক + কলম + বই গিফট পাবেন
💝 নগদ এবং রকেটে ফুল পেমেন্ট অগ্রিম করা হলে ৫% ছাড় !
Additional information
লেখকঃ | শাইখ মুহাম্মাদ সিদ্দিক আলমিনশাভী |
---|---|
অনুবাদকঃ | মাওলানা আতাউল্লাহ আব্দুল জলীল, মুফতী ওয়ালিউল্লাহ আবদুল জলীল |
প্রকাশনীঃ | রাহনুমা প্রকাশনী |
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ | 384 |
ধরনঃ | অপসেট পেপার, হার্ডকভার |
এ-কিতাবটি সৌরভময় মনোমুগ্ধকর কিছু বাক্যের সমাহার। এখানে এক শ মহান ব্যক্তির আলোচনা এসেছে। তাঁরা সবাই প্রখ্যাত যাহেদ। যাঁরা মানব ইতিহাসে আপন চরিত্রকে এঁকেছেন আলোকোজ্জ্বল বর্ণমালা দিয়ে।
শুরুতেই এসেছে হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আলোচনা। যিনি শেষ নবী। নবীগণের ইমাম। বার্তাবাহক, বাত্হা উপত্যকার সর্বোত্তম পদচারণকারী। ধরণীর বুকে চলেছেন ফিরেছেন। প্রথম সুপারিশকারী। প্রথম সুপারিশ কবূলকৃত ব্যক্তি। তাঁর হাতে থাকবে প্রশংসার ঝা-া। তাঁর মাধ্যমে দুআ কবূলের আর্জি পেশ করা হয়। তাঁর যুহদের উপমা নেই। তাঁর দান-দক্ষিণার সীমা-পরিসীমা নেই। তাঁর দয়া ও অনুগ্রহের অন্ত নেই। তিনি উন্নত চরিত্রের অধিকারী। তাঁর ঘাম পবিত্র। মণি-মুক্তার ন্যায় তাঁর কথামালা। তাঁর নীরবতা হল চিন্তা-ভাবনা ও ধ্যানমগ্নতা। তাঁর মজলিস হল যিকর ও ফিকর। তাঁর বাণী হল মহৌষধ। তাঁর অনুচ্চ ধ্বনী হল তাসবীহ। তাঁর উচ্চ আওয়াজ হল তাহলীল। নির্বাচিতদের মধ্যমণি, অভাবীদের বন্ধু। তাঁর মাঝে সমাবেশ ঘটেছিল সমস্ত গুণাবলির― যা বণ্টন করে দেয়া হয়েছিল সকল নবী-রাসূলদের মাঝে। বড়দের বিনয়ের প্রথম শিক্ষাঙ্গনের প্রধান। দুনিয়াতে তাঁর আবির্ভাব ছিল মানবতার পুনর্জন্ম। তাঁর রিসালাত সমাপ্ত করেছে নবুওয়তের ধারা। তিনি এসেছেন সীরাত ও চরিত্রের ছবি নতুন করে আঁকতে, মানুষকে দীন ও তাওহীদ পৌঁছাতে।
তারপর আলোচনা করেছি দাউদ আ. ও ঈসা আ.-এর। এরপর খুলাফায়ে রাশেদীনের। তাঁদের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা হয়েছে উমর ইবনে আবদুল আযীয রাহ.-এর আলোচনা। তারপর পর্যায়ক্রমে সাহাবা, তাবেঈন, তাবে-তাবেঈনদের আলোচনা করা হয়েছে।
নিজ হস্তগত জিনিসের চেয়ে আল্লাহর উপর ভরসা ছিল বেশি। তাঁদের অন্তর ছিল আল্লাহর ভয়ে পরিপূর্ণ। তাঁদেরকে সবকিছু ভয় করত। তাঁরা নিজ অন্তর আলোকিত করেছেন যিকিরের মাধ্যমে। তাঁরা আত্মাকে পরিপুষ্ট করেছেন পরহেযগারী দিয়ে। রাতের অখ- নিস্তব্ধতাকে গুঞ্জরিত করেছেন যিকিরের ধ্বনি দিয়ে। আনন্দের দরুন কখনো মৃত্যুকে ভুলেন নি। সম্পদ ছিল তাঁদের অনুগামী; তাঁরা সম্পদের অনুগামী ছিলেন না। তাঁদের চরিত্র যামানাকে পূর্ণতা দিয়েছে। তাঁদের জীবন চিহ্নিত হয়েছে বিশ্বাসের উষ্ণতায়।